নিজস্ব প্রতিবেদক: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ২০২৪-২৫ রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের ব্লক প্রদর্শনীর শস্য কর্তনের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের দুপুরিয়া এলাকায় শস্য কর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন জানান, ২০২৪- ২৫ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের ব্লক প্রদর্শনীর ৫০ জন উপকারভোগীদের মাঝে ৫০ একর জমি চাষাবাদের জন্য বীজ, ২ টন ডিএপি সার, ২.৫ টন এমওপি সার, ৪.৫ টন ইউরিয়া সার প্রদান করা হয়।
রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপনের জন্যে ৪৫০০ টি সিডলিং ট্রেতে বীজ তলা করা হয়। চারার বয়স ২৮-৩০ দিন হলে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে উক্ত প্রদর্শনী প্লটে ধানের চারা রোপন করা। চারা রোপনের প্রায় চার মাস পরে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দ্বারা ৫০ একর জমিতে ধান কর্তনের উদ্বোধন করা হয়। এবং পর্যায়ক্রমে ৫০ একর জমির ধান যন্ত্রের মাধ্যমে উপজেলা কৃষি অফিস তত্বাবধানে কর্তন করে দেওয়া হবে।
সমলয় চাষের মূল্যে হচ্ছে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা। এ পদ্ধতিতে বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ মন ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সল্প সময়ে বোরো ফসল রোপন ও কর্তন করা যায়। বোরো ফসল চাষে শ্রমিক সাশ্রয় করে উৎপাদন খরচ কমানো। কর্মসূচির আওতাভুক্ত ও পার্শ্ববর্তী কৃষকদের কৃষি যন্ত্রের ব্যবহার এবং সমলয়ে চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করা। শ্রমিকের পরিবর্তে মেশিনের ব্যবহারে উৎপাদন কমিয়ে আনাই প্রধান লক্ষ্যে বলেও জানান তিনি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. রুকনুজ্জামান, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মাসুদুর রহমান, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মনজুরুল হক,রবিউল আলম,নূরে আলমসহ স্থানীয় উপকারভোগী কৃষক ও গণমাধ্যমকর্মীরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।