ঝিনাইগাতীর তাওয়াকুচা বিট কর্মকর্তার পদক্ষেপে পাল্টে গেছে বনায়নের চিত্র দ্যা ডেইলি জাতীয় কাগজ দ্যা ডেইলি জাতীয় কাগজ প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫ স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার তাওয়াকুচা বিটে যোগদানের পর থেকে বিট কর্মকর্তা মোঃ ইফাজ মোর্শেদ শাহীল এর কঠোর পদক্ষেপে বদলে গেছে বনায়নের পরিবেশ। তাঁর আন্তরিকতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বন্ধ হয়েছে অবৈধভাবে গাছ কর্তন, পাহাড়ি ছড়া ও সোমেশ্বরী নদীর পাড় ঘেঁষে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন। যা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই -২০২৩ সালে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দিন-রাত বনায়নের সুরক্ষায় কঠোর অবস্থান নেন তাওয়াকুচা বিট কর্মকর্তা মোঃ ইফাজ মোর্শেদ শাহীল। দিনে নজরদারির পাশাপাশি রাতেও বনায়ন পাহারায় তিনি নিয়োজিত থাকেন। তাঁর নেতৃত্বে বনবিভাগের কর্মীরা নিয়মিত টহল দিয়ে বনজ সম্পদ রক্ষা করছেন। সোমেশ্বরী নদীর পাড় ঘেঁষে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে বনভূমির ক্ষতি সাধিত হচ্ছিল। এ নিয়ে সেখানকার ইজারাদারকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পরও তারা আইন অমান্য করায় তাওয়াকুচা বিট কর্মকর্তা মোঃ ইফাজ মোর্শেদ শাহীল অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনের টাওয়ার ও যন্ত্রাংশ গুড়িয়ে দেন। বিট কর্মকর্তা ইফাজ মোর্শেদ শাহীল দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেন তিনি। তাওয়াকুচা বিট কর্মকর্তার সাফল্য শুধু বনায়নে সীমাবদ্ধ নয়; বন সুরক্ষার পাশাপাশি হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনেও তিনি কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর উদ্যোগে হাতি দ্বারা ফসল ও মানুষের ক্ষতি কমিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে, যা বন ও মানুষের সহাবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে। এলাকাবাসীর একাংশ জানান, “আগে আমরা বন উজাড় হতে দেখেছি। তবে এখন ইফাজ মোর্শেদ স্যারের কারণে বনায়ন সুরক্ষিত। গাছগুলোও যেন ফিরে পেয়েছে নতুন জীবন।” বিট কর্মকর্তা মোঃ ইফাজ মোর্শেদ শাহীল বলেন, “বন আমাদের সম্পদ। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বৃক্ষ নিধন বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। পরিবেশ সুরক্ষায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর তাওয়াকুচা বিট আওতাধীন সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের বহুল আকাঙ্খিত চুক্তি নামা সম্পাদন করা হয়েছে। ফলে এখানকার উপকারভোগীরা সামাজিক বনায়ন সম্প্রসারণে ফিরে পেয়েছেন আগ্রহ। তাওয়াকুচা বিটের এই পরিবর্তন শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই নয়, পরিবেশবিদরাও করছেন প্রশংসা। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে বনজ সম্পদ ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাওয়াকুচা বিট এর এই সফলতার গল্প সারা দেশে বনায়ন সংরক্ষণের একটি মডেল হয়ে উঠুক—এমনটাই প্রত্যাশা সবার। SHARES সারা বাংলা বিষয়: