শেরপুরের শাল বনে অগ্নিকাণ্ড: ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত কমিটির পরিদর্শন

প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জের শাল বনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি পরিদর্শন করেছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ বন বিভাগের আওতাধীন রাংটিয়া রেঞ্জের নওকুচি, গান্দিগাঁও ও ছোট গজনী এলাকার রাস্তার পাশে আগুনে পুড়ে যাওয়া শাল বন ঘুরে দেখেন কমিটির সদস্যরা। পরিদর্শন শেষে বনরাণী ফরেস্ট রিসোর্টে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির সভাপতি ও ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক এ.এস.এম জহির উদ্দিন আকন্দ, সদস্য সচিব ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদ, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য গবেষক পাভেল পার্থ, আইইউসিএনের প্রতিনিধি সারোয়ার আলম এবং বিভাগীয় সাবেক বন কর্মকর্তা বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী। সহকারী বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খান, সহকারী বন সংরক্ষক এস বি তানভীর আহমেদ ইমন, রাংটিয়া রেঞ্জ সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম, বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া, তাওয়াকুচা বিট কর্মকর্তা মো. ইফাজ মোরশেদ শাহীল, গজনী বিট কর্মকর্তা সালেহীন নেওয়াজ খান,এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্য স্থানীয় বাদিন্দাসহ জেলা ও উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। তাদের দেওয়া ভাষ্য, শুষ্ক মৌসুমে বাতাসের তীব্রতা ও শুকনো পাতার স্তূপ জমে থাকার কারণে বনে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।

তাদের ধারণা, রাস্তার পাশে থাকা শুকনো পাতায় অসাবধানতাবশত ফেলে দেওয়া সিগারেটের টুকরো বা আগুনের সংস্পর্শে আসা কোনো বস্তু থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এছাড়া পর্যটক, গরু রাখাল কিংবা পথচারীদের অসতর্কতার কারণেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে পারে বলেও জানান তারা।