শেরপুরে নিরলস প্রচেষ্টায় বাড়ছে বন; ফিরছে জীববৈচিত্র্য দ্যা ডেইলি জাতীয় কাগজ দ্যা ডেইলি জাতীয় কাগজ প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৫ নিজস্ব প্রতিবেদক: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরী রেঞ্জের আওতাধীন কর্ণঝোড়া বিটে বনায়ন কার্যক্রমে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ফরেস্টার মো. আব্দুর রাকিবের নিরলস প্রচেষ্টা ও সুদৃঢ় নেতৃত্বে বদলে যেতে শুরু করেছে এ বনাঞ্চলের চিত্র। গাছ চুরি বন্ধ হয়ে গেছে অনেকটা, বেড়েছে স্থানীয় মানুষের সচেতনতা, আর সবুজে ফিরছে হারানো জীববৈচিত্র্য। কর্ণঝোড়া বিট সুত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ফরেস্টার মো. আব্দুর রাকিব। বর্তমানে তিনি মালাকোচা ও বালিজুড়ী সদর বিটেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। “ফরেস্টার আব্দুর রাকিবের নেতৃত্বে কর্ণঝোড়া বিট এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুসংগঠিত ও সুরক্ষিত। বন্ধ হয়েছে চোরাচালান কার্যক্রম এবং স্থানীয় জনগণও বন রক্ষায় এগিয়ে আসছে।” এছাড়াও, বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ, বনজ সম্পদের পরিমিত ব্যবহার, এবং প্রকৃতি সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তার অবদান ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। ফলে স্থানীয় বনভূমি ফিরে পেতে শুরু করছে তার হারানো প্রাণ। সিংগাবরুনা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আফুজল হক (ওস্তাদ) এবং বাবেলাকোনা আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. দুলাল মাহমুদ মাস্টার বলেন, ফরেস্টার আব্দুর রাকিব তিনি এই বিটে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বনের গাছ চুরি রোধ, চারা রোপণ, বনজ সম্পদের সুরক্ষা এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বনায়ন রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর কঠোর তদারকি, নিয়মিত টহলসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমের ফলে বিট এলাকায় সবুজায়নের লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে। সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী মাটিফাটা গ্রামের আসাদুজ্জামান, পাঁচমেঘাদল গ্রামের এরশাদ আলী ও শাহিনা আক্তার, হাড়িয়াকোণা গ্রামের মর্নিংটং ম্রংসহ অনেকে বলেন, আব্দুর রাকিব সাহেব তিনি যোগদানের পর এই বিটের বিভিন্ন সনে সৃজিত সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীর লভ্যাংশ নানাবিধ কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর উনার মাধ্যমে লভ্যাংশ চেক প্রদান করা হয়। ফরেস্টার আব্দুর রাকিবের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে কর্ণঝোড়া বিট অন্যতম আদর্শ বনায়ন অঞ্চলে পরিণত হবে। ওই সময় সন্তুষ্ট হয়ে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তারা। কর্ণঝোড়া বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাকিব জানান, প্রায় ২৮’শ একর বন ভূমি রয়েছে এই বিটে। একসময় বনের সংকোচন, অবৈধ কাঠ পাচার ও নজরদারির অভাবে সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়েছিল। বনায়নে নতুন করে আমলকী, হরিতকি,বহেরা,গর্জন, গামার,তেলসুর,চাপালিশ,শাল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মিশ্র বাগান করা হয়। যার ফলে সবুজায়নের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। এছাড়াও বনায়ন রক্ষনাবেক্ষনে স্থানীয় উপকারভোগী ও জনগণকে সচেতন ও অন্তর্ভুক্ত করণ,অবৈধভাবে বনায়নের গাছ কর্তন ও চোরাচালান রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, বুনো হাতি ও বন্যপশু পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও খাদ্যে উপযোগী বাগান সৃজিত করা হয়। যার ফলে, বনের মধ্যে ফুটে উঠছে নতুন চারা, ডাকছে পাখি, বেড়েছে জীববৈচিত্র্য। SHARES সারা বাংলা বিষয়: